নোটিশ :
hathazarinews.com ওয়েব সাইটে আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম:
একদিনেই ধলই ইউনিয়নে দুই বীর মুক্তিযোদ্ধার ইন্তেকাল ফরহাদাবাদে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার কে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে: উপদেষ্টা ফারুক ই আজম হাটহাজারীতে আগুনে পুড়লো ৪ পরিবারের বসতঘর পণ্ডিত স্বর্ণময় চক্রবর্তীর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন হাটহাজারীতে বন্যা দূর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার  ফরহাদাবাদের বংশালে বন্যা কবলিত ভাইকে দেখতে গিয়ে বোনের মৃত্যু ফরহাদাবাদে মধ্যে রাতে বন্যার পানি ঘরে: মালামাল বের করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট যুবক নিহত হাটহাজারীতে নির্মাণাধীন ভবনে পড়েছিল ব্যবসায়ীর লাশ বীর মুক্তিযোদ্ধা এলএমজি মাহাবুর ইন্তেকাল  নরমাল ডেলিভারিতে ৮ নবজাতকের জন্ম হাটহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
বার বার পরিদর্শন ও মাটি পরীক্ষায় সীমাবদ্ধ নাজিরহাটের বিকল্প সেতু

বার বার পরিদর্শন ও মাটি পরীক্ষায় সীমাবদ্ধ নাজিরহাটের বিকল্প সেতু

নাজিম উদ্দীন:
চট্টগ্রাম উত্তর জেলার জনবহুল হাটহাজারী – ফটিকছড়ি দুই  উপজেলার সীমান্তবর্তী সহজ যোগাযোগের নাজিরহাট পুরাতন সেতুটি। কিন্তু এই সেতুর বিকল্প একটি নতুন করে  নির্মাণ করতে গেল  দু দশক ধরে চেষ্টা তদবীর হলেও তা কেবল পরির্দশন আর মাটি পরীক্ষায় সীমাবদ্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

 

সওজ ও জনপথ বিভাগ প্রায় দুই যুগ পুর্বে সেতুটি চলাচলের অযোগ্য ঘোষণা করলেও এখনও বিকল্প সেতু না থাকায় সেতুটি এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে।

 

দুই উপজেলার শীর্ষ ব্যক্তিদের ঠেলাঠেলিতে ঝুলে আছে এই সেতুটি। একজনে করলে আরেকজনে দাবি করে বলবেই তিনিই করেছেন এমন দ্বিধাদ্বন্দ্বের কারণটাই ব্রীজ নির্মাণের প্রধান বাঁধা বলে দাবি বিজ্ঞ সচেতন মহলের।

 

জানা যায়, ১৯১৯ সালে সেতুটি নির্মিত হলে দুই উপজেলার মধ্যে যোগাযোগের নতুন দিগন্ত সৃষ্টি করে। সেতুকে কেন্দ্র করে দু উপজেলায় অসংখ্যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল কলেজ মাদ্রসা সমাজিক সংগঠন গড়ে উঠে। হালদা নদীর উপর এ সেতুটি (হাটহজারী -ফটিকছড়ি ) উপজেলার ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটিয়েছে।

 

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকহানাদার বাহিনী বোমা দিয়ে ব্রিজের একাংশ ধ্বংস করে দিলে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার পুনঃ মেরামত করে আবার ব্রিজের উপর যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করে।

 

তারপর বিগত তিন যুগ পর ২০০৫ সনে সেতুটি পুনঃ মেরামদ কাজ হলেও ২০০৮ সালে সওজ কর্তৃপক্ষ ঝুকিঁপূন সাইনর্বোড টাঙিয়ে দেই সেতুর দুই পাশের সম্মুখ অংশে, কিন্তু পরবর্তী গেল বছরগুলোতে আর কোন মেরামতের ছোঁয়া লাগেনি।

 

তাছাড়া বিগত কয়েক বছর ধরে বর্ষায় পাহাড়ি ঢলের প্রবল স্রোতে সেতুর মাঝখানে দেবে গেছে। বিকল হয়ে পড়েছে সেতুর নানা অবকাঠামো গত ৮-৯ বছর আগেও সেতু দিয়ে হালকা যানবাহন রিকসা সিএনজি চলাচল করলেও বর্তমানে মানুষ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

 

সরজেমিনে গিয়ে দেখা যায় দু পাশের রেলিং অকেজো হয়ে পড়েছে এবং নিচের খুটিঁ শুরু হয়ে গেছে, তাই বড় কোন দূর্ঘটনার আগে গুরুত্বপূর্ন এ সেতুটির মেরামত ও বিকল্প সেতু নির্মানের জন্য আবেদন জানিয়ে আসছে স্থানীয় জনসাধারণ।

 

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য শওকত আলম বলেন বর্তমান সারা দেশে ব্রীজ ও কালর্ভাট রাস্তাঘাটের ব্যাপক কাজ হচ্ছে, কিন্তু আমাদের নাজিরহাট সেতুটি দীর্ঘদিন যাবৎ ঝুকিঁপূণ অবস্থায় রয়েছে জনসাধারণ এ সেতু দিয়ে আতঙ্গের মধ্যে পারাপার হয়, এখানে দুই উপজেলার দুইজন সাংসদ সদস্য থাকা সত্বেও ব্রিজটা হচ্ছে না, তারা আমাদের আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না শুধু পরিদর্শন মাটি পরীক্ষায় সীমবদ্ধ রয়েছে, হালদা নদীর উপর বিকল্প সেতু গণমানুষের প্রানের দাবি।

 

এ বিষয়ে নাজিরহাট পৌরসভা মেয়র বলেন হালদা নদীর ঊপর বিকল্প সেতু নির্মানের জন্য এমপি মহোদয়কে আমরা বলেছি তিনি এটি নিয়ে উপর মহলে তদবীর করেছেন মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে জেলা প্রশাসক পরিদর্শন করে গেছেন।

 

ফটিকছড়ি উপজেলার এলজিইডির উপ প্রকৌশলী কাছে মাটি পরীক্ষা সেতুর কাজের অগ্রগতি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক হাটহাজারী নিউজ কে বলেন, হালদা নদীর উপর বিকল্প সেতুর নির্মানের জন্য স্পেন সরকারের সাথে ১০০ মিটার স্টীল স্ট্রকচারের প্রজেক্টের চুক্তি হয়েছিল ডিজাইন তৈরী করার পর এস্টিমের সময় করোনা চলাকালীন মাঝামাঝি সময়ে স্পেন সরকারের সাথে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তিটি বাতিল হলে ব্রিজ নির্মান অনিশচিত হয়ে পড়ে।

 

জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর আদেশে আমরা এমপি মহোদয়ের ডিউ লেটার নিয়ে পুনরায় ১০০ মিটার ব্রিজের প্রস্তাব পাঠিয়েছি।

 

ঝুকিঁর বিষয়ে জানতে চাইলে উপ প্রকৌশলী বলেন ঝুকিঁ এড়াতে আমরা ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশে ব্রিজটি কয়েকবার বন্ধ করে দেওয়ার পরও লোকজন পুনরায় চলাচল করছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন




সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত,© এই সাইডের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Desing & Developed BY ServerNeed.com